× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শবেকদর অন্বেষণ করা

শাহীন হাসনাত

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৬ পিএম

শবেকদর অন্বেষণ করা

রোজা এমন একটি ইবাদত, যা বাহ্যত কষ্টকর হলেও তার প্রচলন ছিল সর্বকালে। প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর যুগ থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সব নবীর উম্মতের ওপরই তা ফরজ ছিল। অবশ্য আগের যুগে রোজার ধরন ছিল বিভিন্ন প্রকৃতির। রোজা রাখার পদ্ধতির ভিন্নতা ছাড়াও ফরজ রোজার সংখ্যাও ছিল বিভিন্ন রকম। প্রাথমিক অবস্থায় উম্মতে মুহাম্মদীর ওপরও কেবল আশুরার রোজা ফরজ ছিল। রমজানের রোজার ফরজ বিধান আসার পর আশুরার রোজা ফরজ হওয়ার হুকুম রহিত হয়ে যায়। রোজা ফরজ হয় হিজরতের দেড় বছর পর, ১০ শাবানে। রোজা ফরজ হওয়ার পর নবী কারিম (সা.) মোট ৯টি রমজান মাস পেয়েছিলেন।

রমজানের ফজিলতময় একটি রাত লাইলাতুল কদর। এ রাত বরকতময় ও মহিমান্বিত। এ রাতে কুরআনে কারিম নাজিল হয়েছে এবং এ রাতের নামে আল্লাহতায়ালা একটি সুরা নাজিল করেছেন। এ রাতের মর্যাদা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ Ñসুরা কদর : ১-৩

হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে নামাজে দণ্ডায়মান থাকবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ Ñসহিহ মুসলিম : ৭৬০

এ রাতে সাধ্য মোতাবেক নফল ইবাদত করা, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ, তওবা-ইস্তেগফার প্রভৃতিতে মশগুল থাকতে সচেষ্ট হওয়া কর্তব্য। ইবাদতের মাঝে বিশ্রাম নিলেও দিল আল্লাহমুখী রাখা, সম্ভব হলে মনে মনে জিকির চালু রাখা। আর খেয়াল করে এশা ও ফজর নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে পড়া। কারণ হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ Ñসহিহ মুসলিম : ৬৫৬

শবেকদর কবে, তা নির্দিষ্ট নেই। শুধু এতটুকু জানানো হয়েছে, শবেকদর রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর যেকোনো এক রাত। তাই শেষ দশকের বেজোড় রাতের প্রতিটিতেই ইবাদত করা কর্তব্য। নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (রমজানের) শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোয় শবেকদর তালাশ করো।’ Ñসহিহ বুখারি : ২০১৭

সহিহ বুখারির অন্য বর্ণনায় আছে, নবী কারিম (সা.) রমজানের মাঝের ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। এক বছর এভাবে ইতিকাফ শেষ করার পর যখন রমজানের ২১তম রাত এলো, তখন তিনি ঘোষণা করলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে। কারণ আমাকে শবেকদর সম্পর্কে অবগত করা হয়েছিল (যে তা শেষ দশকের অমুক রাতে)। এরপর তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ... সুতরাং তোমরা শেষ দশকে শবেকদর খোঁজ করো।’ Ñসহিহ বুখারি : ২০২৭

তাই কেবল ২৭ রমজানের রাতকে শবেকদর মনে করে শেষ দশকের অন্য রাতগুলোয় শবেকদর অন্বেষণ না করা ঠিক নয়। বরং শেষ দশকের প্রতি রাতেই শবেকদর তালাশ করা জরুরি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা