তাসকিন জাহান
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৪ পিএম
রমজানের পুরো
মাস বিরাজ করে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে রহমত ও ক্ষমার ঘোষণা। তবে এ মাসে রয়েছে বিশেষ
এক মহিমান্বিত রজনিÑলাইলাতুল কদর। দয়াময় আল্লাহর দেওয়া এ মহা নিয়ামত ও পুরস্কার লাভে
সচেষ্ট হতে হবে। মুমিনমাত্রেরই কর্তব্য, কদর রজনির পূর্ণ কদর করা। লাইলাতুল কদর থেকে
বঞ্চিত হওয়া অনেক বড় বঞ্চনা ও ব্যর্থতা। আল্লাহতায়ালা ও তাঁর হাবিব (সা.)-এর পক্ষ থেকে
সুসংবাদ পাওয়ার পরও এ রাতের ক্ষমা এবং রহমতলাভের চেষ্টা না করা অনেক বড় বঞ্চনার বিষয়,
হতাশার কথা ও আফসোসের কারণ। লাইলাতুল কদরের ফজিলতের বিশালতা কি বলে প্রকাশ করা যায়?
এক রাতের বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা হাজার রাতের নয়, হাজার মাসের চেয়ে বেশি সওয়াব দান করবেন।
কুরআন মাজিদে এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালার স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে।
লাইলাতুল কদর
অর্জনের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ উপায় হলো রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা। হজরত রাসুলুল্লাহ
(সা.) কখনও ইতিকাফের আমলটি ছাড়েননি। তাই রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোয় নিয়মিত
কিছু আমল করা। এসব আমলের কয়েকটি হলোÑএক. রমজানের অবশিষ্ট প্রতি রাতে অন্তত ৮ রাকাত
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। রাকাতের দৈর্ঘ্য যেন লম্বা হয়। যারা ৮ রাকাত পারবেন না অন্তত
৪ রাকাত নামাজ পড়া। দুই. প্রতি রাতের কিছু অংশ কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা। তিন. সদকা
করা। আপনার দান যদি কদরের রাতে হয়ে যায়, তাহলে অন্তত ৮৩ বছর ধরে সদকা করার সওয়াব হবে
ইনশা আল্লাহ। চার. হজরত আয়েশা (রা.)-কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শবেকদরে পড়ার জন্য একটি
দোয়া শিখিয়েছেন। শেষ দশকের প্রতি রাতে এ দোয়া বেশি বেশি পড়া উচিত। দোয়াটি হলোÑআল্লাহুম্মা
ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা
করতে ভালোবাসেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। Ñজামে তিরমিজি : ৩৫১৩
পাঁচ. বেশি বেশি
তওবা-ইস্তেগফার করা। নবী কারিম (সা.) রমজানের শেষ দশকে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করতেন
এবং পরিবারের সবাইকে ইবাদত করার জন্য জাগিয়ে দিতেন। আমাদেরও চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহতায়ালা
আমাদের তাওফিক দান করুন।