ইসলামী স্থাপত্য
হুমায়ুন কবীর
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৩ পিএম
ময়মনসিংহের ত্রিশাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণ করেন আলহাজ মরহুম ফরমান আলী
সরকার। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট নিখুঁত কারুকার্যের মসজিদটি তার একক চেষ্টায় নির্মিত। উপজেলার
বালিপাড়া ইউনিয়নে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কের পাশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর মসজিদটি
দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসে মানুষ। প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট।
মসজিদের নিখুঁত কারুকার্যময় সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। জনশ্রুতি রয়েছে, মসজিদের নির্মাণকাজের
জন্য শ্রমিক আনা হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে। মসজিদ নির্মাণেও সময় লেগেছে
বেশ কয়েক বছর। এর ভেতরে এবং বাইরে রয়েছে নিখুঁত কারুকার্য। আলহাজ ফরমান আলী মসজিদ নির্মাণের
পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। মৃত্যুর পরে যেন মসজিদ
পরিচালনায় কারও আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন না পড়ে, সেজন্য প্রায় সাড়ে চার একর আবাদি
জমি লিখে দেন মসজিদের নামে।
মসজিদের ভেতরে তিনটি মেহরাব। এর মধ্যে মাঝখানেরটি ইমামের জন্য। দুই পাশের দুটি
সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য। মেহরাবগুলো দেয়ালের ভেতরের অংশেই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য
বাইরের অংশে মেহরাবের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। মেহরাবের জন্য মসজিদের পশ্চিম
পাশের দেয়াল প্রায় তিন ফুট প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত
হলেও এর মূল অংশের এখনও সংস্কার প্রয়োজন পড়েনি।
মসজিদটি মুতাওয়াল্লির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুতাওয়াল্লি
মো. শাহজাহান সরকার বলেন, ‘ইসলামের বিকাশ এবং ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে আলহাজ ফরমান আলী
সরকারের অবদান অপরিসীম। উনার একক প্রচেষ্টায় প্রায় ২০০ বছর আগে চুনসুরকির গাঁথনিতে
অপূর্ব কারুকার্যের মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদের নামে উনার দেওয়া জমির ফসল
থেকেই ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনের বেতনসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হয়।’