শাহীন হাসনাত
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৪ পিএম
তাবলিগ জামাত ছয়টি গুণ অর্জনের কথা বলে। এ গুণের মধ্যে প্রথমে রয়েছে ঈমান। ঈমান মানুষের জন্য ফরজ, তাই ঈমানের মেহনতও ফরজ। ঈমানের দাওয়াতের অন্যতম উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়, দুনিয়ায় আমরা যা কিছু দেখি বা না দেখি, আল্লাহ ছাড়া সবই মাখলুক (সৃষ্ট বস্তু), মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহর সাহায্য ছাড়া, আল্লাহ সবকিছু করতে পারেন মাখলুক (সৃষ্ট বস্তুর সাহায্য) ছাড়া। দ্বিতীয়ত, জোর দেওয়া হয় নামাজের ওপর। কারণ হাশরের ময়দানে প্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, ইলম ও জিকির। ইলম হলোÑ আল্লাহর হুকুম জেনে নবী করিম (সা.)-এর তরিকা অনুযায়ী চলা। আর জিকির হলো, সর্বাবস্থায় দিলের মধ্যে আল্লাহর ধ্যান ও খেয়াল পয়দা করা। চতুর্থত, একরামুল মুসলিমিন। সমাজে মানুষের মর্যাদা অনুযায়ী তার সঙ্গে ব্যবহার করার কথা। বড়দের শ্রদ্ধা, ছোটদের স্নেহ এবং আলেমদের সম্মান করা মূল উদ্দেশ্য। পঞ্চমত, নিয়ত বিশুদ্ধ করা। যে কাজই মানুষ করে না কেন, তা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়। ষষ্ঠত, দাওয়াত ও তাবলিগ। এখানে কিছু সময় মেহনত করে মানুষ জানমাল ও সময়ের সঠিক ব্যবহার শিখবে।
তাবলিগের সাথীদের পাঁচটি কাজ নিয়মিত করতে হয়। এক. দৈনিক আড়াই ঘণ্টা
মেহনত করা। দুই. প্রতিদিন পরামর্শ সভায় বসা (মাশওয়ারা)। তিন. প্রতিদিন কুরআন-হাদিসের
তালিমে অংশ নেওয়া। তালিম একটি হবে মসজিদে, অন্যটি বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। চার.
সপ্তাহে দুটি গাশতের (দাওয়াত) কাজ করবে। একটি নিজের মহল্লায়, অন্যটি পার্শ্ববর্তী মহল্লায়।
পাঁচ. প্রতি মাসে তিন দিন আল্লাহর রাস্তায় সময় লাগানো।
তাবলিগ জামাতে চার মাস (তিন চিল্লা) একটানা সময় লাগিয়ে কাজটি বোঝার
জন্য তাগিদ রয়েছে। এরপর প্রতি বছর ৪০ দিন (এক চিল্লা) লাগিয়ে সে নিজেকে সক্রিয় রাখবে।
গুণগুলো মেহনত করে আমল করে চলতে পারলে দীনের ওপর চলা সহজ হয়। ইজতেমা থেকে এ কাজগুলো
আরও ব্যাপক আকারে করার, জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার তাগাদা দেওয়া হয়, এ কাজে জুড়ে থাকার
জন্য বলা হয়।