ইসলামি স্থাপত্য
সোহরাব আরেফিন অমিত
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৩ এএম
টাঙ্গাইলের গোপালপুর
উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে ঝিনাই নদীর তীরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন ২০১ গম্বুজ
মসজিদ। ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ১০০ কোটি টাকা
ব্যয়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ
শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর কাজ পুরোপুরি শেষ হয় ২০১৮ সালে। মসজিদের মিনারের উচ্চতা ৪৫১
ফুট (১৩৮ মিটার); যা ৫৭ তলা ভবনের সমান। মসজিদে গম্বুজ আছে ২০১টি। এটি হচ্ছে বিশ্বের
দ্বিতীয় উঁচু মিনারের মসজিদ। নকশা ও কারুকাজের দিক থেকে মসজিদটি একটি ভিন্ন সৌন্দর্যের
প্রতীক হয়ে গড়ে উঠছে। মসজিদের টাইলসসহ ফিটিংসের যাবতীয় শোভাবর্ধনের শৌখিন কারুকাজ খচিত
পাথরগুলো নানা দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
নির্মাণাধীন অবস্থায়ই
২০১ গম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে নামাজ আদায় শুরু হয়। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি
পর্যটক এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে মসজিদটি। মসজিদের ছাদের মাঝখানের
গম্বুজটির উচ্চতা ৮১ ফুট, বাকি ২০০ গম্বুজ ১৭ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। মূল মসজিদের চার কোণে
রয়েছে ১০১ ফুট উচ্চতার চারটি মিনার। পাশাপাশি রয়েছে ৮১ ফুট উচ্চতার আরও চারটি মিনার।
১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি
নামাজ আদায় করতে পারবেন। দেয়ালের টাইলসে ৩০ পারা কুরআন শরিফ খোদাইয়ের কাজ করা হয়েছে।
ফলে যে-কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালের কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন। মসজিদের প্রধান
দরজা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মণ পিতল। স্থানীয় ব্যবসায়ী রাহাত হোসেন জানান, ‘মসজিদটি
নির্মাণের সময় প্রথম থেকেই নানাবিধ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত মুসল্লিদের ইবাদতের
বিষয়টিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমন সামাজিক পর্যায়ে তাদের সুযোগসুবিধা নিশ্চিতকরণের
বিষয়টিকেও আধুনিক স্থাপত্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মিহরাবের পাশে লাশ রাখার জন্য
হিমাগার তৈরি করা হবে। তা ছাড়া মসজিদের পাশে রয়েছে আলাদা ভবন। এ ভবনে দুস্থ নারীদের
জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’