ইসলামি স্থাপত্য
আমানত উল্যাহ
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১৮ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার
চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লা নামক স্থানে স্থাপিত হয়েছে চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের
আস-সালাম মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল মসজিদটিতে নেই কোনো জানালা। শুধুমাত্র মুসল্লিদের
প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে দুটি দরজা। তারপরও ভেতরে প্রবেশ করছে আলো-রোদ-বৃষ্টি।
স্থানীয়দের নামাজ ও জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরের রহিমা মমতাজ ও সাইফ-সালাহউদ্দিন
ট্রাস্ট ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে। মসজিদটির নকশা তৈরি করেছে
বাংলাদেশি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান আর্কি গ্রাউন্ড লিমিটেডের স্থপতি নবী নেওয়াজ খান সমিন
ও তার দল। নির্মাণ শেষে ২০২১ সালে সাধারণের জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত করা হয়। গরমের সময়
মসজিদের ভেতরের অংশ শীতল রাখতে বৃষ্টির পানি এবং পানি সংরক্ষণের জন্য রয়েছে চারটি জলাধার।
জলাধারগুলোতে রাখা শীতল পাথর গ্রীষ্মকালে মসজিদকে শীতল করে রাখে। দোতলা এ মসজিদটির
নিচতলা দু’ভাগে বিভক্ত। সামনে মেহরাব ও মসজিদের মূল অংশ। এর পেছনে মাঝ বরাবর গলিপথ।
তার দুই পাশে শীতল জলাধার এবং রোদ, বৃষ্টির পবেশ পথ। মুসল্লিদের জন্য একটি প্রশান্তিময়
স্থান তৈরি করতে মসজিদে নরম প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। পেছনের অংশে বড় গ্যালারির
মসজিদ। যেখানে বসে মুসল্লিরা নিজ মনে ইবাদত করতে পারেন। গ্যালারি অংশের পেছন থেকে দোতলায়
উঠার সিঁড়ি। দোতলায় রয়েছে নারীদের নামাজ পড়ার স্থান।
মসজিদের ছাদও প্রচলিত স্থাপনা
থেকে আলাদাভাবে নির্মিত। একসঙ্গে প্রায় ২ হাজার মুসল্লি এখানে জামাতে নামাজ আদায় করতে
পারেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লি মো. আলী আজগর ও রেজাউল করিম বলেন, প্রতিদিন এই মসজিদ
দেখতে শত শত মানুষ এখানে আসেন। আস-সালাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক জানান,
বাইরে থেকে প্রচুর মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। এখানে মহিলাদের জন্য রয়েছে
আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে হাফেজি ও ইংরেজি শিক্ষার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক
মানের প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠত হয়েছে আস-সালাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা।