নৌরীন জাহান প্রিয়া
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৪ পিএম
স্বাধীনতা মুক্তির আভাস। উড়ন্ত গাঙচিল আর দিগন্ত প্রান্তরের মতো স্বাধীনতা। মুক্তির উপাদান হিসেবে স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রায়ন। জনগণের মতামতের নিজস্ব শাসনব্যবস্থা ও কোনো অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব। জাতি, দেশ বা রাষ্ট্র বিপ্লবী কর্মকাণ্ড দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে।
২৬ মার্চ বাঙালির গৌরবদীপ্ত দিন, স্বাধীনতা দিবস। শত বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন। স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকা উড়বে- সেই প্রত্যাশায় লড়াই করেন বীর বাঙালিরা। আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগে না, তেমনি স্বাধীনতা ব্যতীত একটি জাতি বাঁচতে পারে না। জাতীয় ঐক্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে স্বাধীনতার ফলসূত প্রয়োজন। পীড়িত, অত্যাচারিত জাতি স্বীয় মর্যাদাকে অক্ষুণ্ন রাখার জন্যে সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্তিলাভ করে থাকে। কিন্তু এ মুক্তি অর্জনই মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। একে সমুন্নত রাখতে হবে।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে আরও বেশি ত্যাগ, সাধনা, পরিশ্রম ও নিষ্ঠার প্রয়োজন। নিজের মধ্যে দেশপ্রেমকে লালন করতে হয়। যদি জনগণ দেশপ্রেমিক না হয়, তবে এই স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাধীনতা অর্জনের পর এর বিপক্ষের শত্রুরা স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করার জন্য তৎপর থাকে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এই অর্জনের অর্থবহ নিয়ে কথা ওঠে।
মুক্ত গাঙচিল বাঁধা পড়ে নানা নিয়মের শিকলে। স্বাধীনতা লাভ করলেই কর্তব্য শেষ হয় না। তাকে মর্যাদার সঙ্গে রক্ষা করে পূর্ণতা দিতে পারলেই অর্থবহ হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের সবাইকেই সৎ, দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ ও দেশপ্রেমিক হতে হবে।